হারাম খাবার যে জন্য নিষিদ্ধ

3
3818

লেখক: আখতারুজ্জামান মুহাম্মদ সুলাইমান

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার, তার নিকটই সাহায্য প্রার্থনা করি, তার নিকট ক্ষমা চাই, আমাদের অন্তরের অনিষ্ট এবং মন্দ আমল থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি। আল্লাহ তাআলা যাকে হেদায়েত দেবেন তাকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারবে না। আর যাকে তিনি পথভ্রষ্ট করবেন সে কাউকে তার সাহায্যকারী ও পথপ্রদর্শক হিসেবে পাবে না।

আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ এক, তার কোন শরিক নেই। এবং কথারও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহর দয়া ও অধিক পরিমাণ সালাম তার উপর এবং তার পরিবারবর্গ ও সাহাবাদের উপর বর্ষিত হউক।

হে মুসলমানেরা!

আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিকে সৃষ্টি করেছেন যাতে তারা একমাত্র তারই ইবাদত করে, এবং তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন আল্লাহ তাআলা যা রিযক দিয়েছেন তার মধ্য থেকে হালাল ভক্ষণ করে, অপবিত্র এবং হারাম থেকে বেচেঁ থাকে, আল্লাহ তাআলা বলেন: যারা অনুসরণ করে রাসূলের, যে উম্মী নবী, যার গুণাবলী তারা নিজদের কাছে তাওরাত ও ইঞ্জিলে লিখিত পায়, যে তাদেরকে সৎ কাজের আদেশ দেয় ও বারণ করে অসৎ কাজ থেকে এবং তাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করে আর অপবিত্র বস্তু হারাম করে। [সূরা আল আরাফ ১৫৭ আয়াত]

হে আল্লাহর বান্দারা!

প্রত্যেক মুসলমানের উপর হালাল উপার্জন করা ওয়াজিব যদিও তা কষ্টকর হয়। বাস্তবে হালাল উপার্জন কঠিন কাজ নয়। কিন্তু দিন থেকে আমরা দুরে থাকার কারণে এবং বস্তুগত মাধ্যমের প্রতি বেশী আকৃষ্ট হয়ে পড়ার কারণে এবং নীতিবোধ উঠে যাওয়ার কারণে কঠিন মনে হয়।মানুষের চিন্তা চেতনায় পরিবর্তন আসার কারণে অনেক মানুষ হারামের দিকে পতিত হচ্ছে। সাধারণ মানুষের হালাল চিনতে অসুবিধা হচ্ছে, তারা মনে করছে এখন হালাল হারিয়ে গেছে। হালাল খুজে পাওয়া সম্ভব নয়। হারামের দিকে রাস্তা ধরা ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই।আর যিনি আমাদেরকে সত্য দিন এর উপর রেখে গেছেন তিনি বলেছেন: নিশ্চয় হালাল স্পষ্ট এবং হারাম স্পষ্ট এদুটির মাঝখানে সন্দেহযুক্ত বিষয় আছে অনেক লোক তা জানে না। যে সন্দেহযুক্ত জিনিস থেকে বেঁচে থাকবে সে তার দিন এবং সম্মানকে ত্রুটি মুক্ত রাখল। আর যে সন্দেহযুক্ত জিনিসের মধ্যে পতিত হল সে হারামের মধ্যে পতিত হল। ঐ রাখালের ন্যায় যে সংরক্ষিত এলাকার নিকট চারণ করে আশংকা আছে তার মধ্যে ঢুকে পড়ার। সাবধান! প্রত্যেক বাদশার একটি সংরক্ষিত এলাকা আছে, জেনে রাখ‍! আল্লাহ  তাআলার সংরক্ষিত এলাকা হল তার হারাম করা বিষয়, জেনে রাখ! শরীরের মধ্যে একটি মাংসপিন্ড আছে।যে ব্যক্তি দিন রক্ষার ব্যাপারে যত্নবান তার নিকট যদি কোন বিষয় হারাম হালাল হওয়ার বিষয়ে সন্দেহ হয় তবে না জানা থাকলে জ্ঞানীলোকদের থেকে জেনে নেবে যেমন আল্লাহ তাআলা নির্দেশ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন: সুতরাং জ্ঞানীদের জিজ্ঞাসা কর, যদি তোমরা না জান। [সূরা আন-নাহল ৪৩ আয়াত]

ঐ সকল লেন-দেন যা শরীয়ত ভিত্তিক নয় এবং তা স্পষ্ট তবে তা অন্যায়ভাবে মানুষের সম্পদ ভক্ষণ করার পর্যায়ে পড়ে যাকে আল্লাহ তাআলা তা হারাম এবং নিষিদ্ধ করেছেন। মানুষ আজকাল হারাম উপার্জনের ব্যাপারে অনেক বেশি উদাসীন হয়ে গেছে: শ্রমিক তার কাজ সঠিকভাবে করে না। আবার অনেক সময় মালিক পক্ষ কাজের পারিশ্রমিক দেয় না। দায়িত্বরত কর্মকর্তা তার কর্ম সঠিকভাবে পালন করে না। ব্যবসায়ী তার দ্রব্যের মধ্যে ভেজাল দেয়। সুদী কারবারী সাহসী হয়ে উঠে। তারা মানুষের ক্ষতি করে এমন জিনিসের ব্যবসা করে এমনকি অনেক ব্যবসায়ের বস্তু মানুষের জীবন ধংস করে দেয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হল সেই ব্যক্তি যে হেদায়েতের রাস্তা ছেড়ে দিয়ে শয়তানের সাথে আপোস করল।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবস্থাতো এই ছিল ঘরের কোনে একটি খেজুর তার বিছানায় পড়ে পেলেন সেটি উঠালেন খাওয়ার জন্য অত:পর আশঙ্কা করলেন এটি সাদকাহওতো হতে পারে, পরে ফেলে দিলেন। ইমাম বুখারি রহ: আবু হুরাইরাহ রা. থেকে বর্ণনা করেছেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আমি আমার পরিবারের নিকট গেলাম আমার বিছানায় খেজুর পড়ে থাকা অবস্থায় পেলাম আমি সেটি খাওয়ার জন্য উঠালাম অত:পর ভয় হল তাতো সাদাকাহ হতে পারে তাই ফেলে দিলাম।   তার সাহাবীরাও হারাম থেকে এমন ভয়ে থাকতেন। দেখুন না আবু বকর সিদ্দিক রা. এর অবস্থা তার একটি কৃত দাস ছিল যে তার ট্যাক্স আদায় করত, আবু বকর রা. ট্যাক্সের পয়সায় তার সংসার চলত, সে একদিন তার জন্য একটা জিনিস আনল আবু বকর রা. তার থেকে খেলেন। কৃতদাসটি তাকে বলল এটা কি তা আপনি জানেন? তিনি প্রশ্ন করলেন এটা কি? সে বলল: আমি ইসলাম পূর্বযুগে এক ব্যক্তির রাশিফল গণনা করেছিলাম। আর এ রাশিফল গণনা করতে আমি তার সাথে ধোকাবাজী করতাম। তার সাথে আজ আমার সাক্ষাত হওয়ার পর সে আমাকে ঐ জিনিস দিয়েছিল। তার থেকেই আপনি খেয়েছেন, আবু বকর রা. মুখের ভিতর হাত দিলেন এবং পেটের ভিতর যা ছিল সব বমি করে দিলেন। (আবু বকর রা. এর ঘটনা ইমাম বুখারি রহ. মানাকেব অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন।)

কায়াব বিন আজরা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন যে রাসূল সা. আমাকে বললেন: হে কাআব বিন আজরা! আমি আল্লাহ তাআলার নিকট তোমার জন্য ঐ সমস্ত শাসক থেকে আশ্রয় পার্থনা করছি যারা আমার পরে আসবে। যে ব্যক্তি তাদের দরবারে যাবে তাদের মিথ্যাকে সত্য বলে সত্যায়ন করবে। তাদের অত্যাচারে সাহায্য করবে সে আমার সাথে নয়। আমিও তার সাথে নই। সে হাউজে আসতে পারবে না। আর যে তাদের দরবারে গেল অথবা না গেল, তাদের মিথ্যাকে সত্য বলে সত্যায়ন করল না। তাদের অত্যাচারে সাহায্য করল না। সে আমার সাথে আমিও তার সাথে এবং সে হাউজের কাছে আমার সাথে সাক্ষাত করবে। হে কাআব ইবনে আজরা নামাজ হল দলিল-প্রমাণ। সিয়াম হল শক্ত ঢাল। দান সদকা গোনাহকে তেমনই মিটিয়ে দেয় যেমন পানি আগুনকে মিটিয়ে দেয়। হে কাআব ইবনে আজরা! ঐ মাংশ বৃদ্ধি পায় না যা হারাম দ্বারা তৈরী হয়। বরং জাহান্নাম এর থেকে উত্তম। (তিরমিজি হাদিসটি বর্ণনা করে বলেছেন হাদিসটি হাসান এবং গরিব আলবানি হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন ৬১৪)।

আবু বকর রা. বললেন: হে বৎস! তোমার ধংস হোক। তুমি আমাকে ধংসের দার প্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলে। আমি ভয় পেয়েছিলাম এই হারাম মালের দ্বারা আমার গোস্তের বৃদ্ধি ঘটবে যদি এমন হয়ে যেত তাহলে আমার কি হত? আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: ঘুষের মাধ্যমে যে গোস্ত তৈরী হয় তা বৃদ্ধি পায় না বরং তা আগুনের জন্য বেশি উপযুক্ত।

আয়েশা রা. বলেন: তোমরা সবাই উত্তম ইবাদত থেকে অমনোযগী হয়ে আছো আর তা হল : খোদাভীরু হয়ে চলা।

আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন: তোমরা যদি নামায পড়তে পড়তে ধনুকের মত বাঁকা হয়ে যাও। আর রোযা রাখতে রাখতে তারের মত কঙ্কাল হয়ে যাও তোমাদের পক্ষ থেকে তা অতক্ষণ পর্যন্ত কবুল হবে না যতক্ষণ না তোমরা খোদাভীরু হয়ে তা পালন  না করবা।

উমর ফারুক রা. বলেন: আমরা হালাল উশরের এক নবম অংশ এই ভয়ে নিতাম না যদি আমরা হারামের মধ্যে পড়ে যাই। পূর্বসুরীদের অবস্থা তো এমন পর্যায়ে পৌছেঁছিল কোন ওয়ায়েজ মানুষের উদ্দেশ্যে ওয়াজ করতে চাইলে তার মধ্যে তিনটি বিষয় খুজেঁ দেখতে বলতেন: যদি সে বিদআতের আকিদা পোষণ করে তবে সে শয়তানের ভাষায় কথা বলবে তার ওয়াজে বসবে না। আর যদি হারাম ভক্ষণ করে তবে সে প্রবৃত্তি অনুযায়ি কথা বলবে। আর যদি তার বুদ্ধি কম থাকে তবে সংশোধন করার চেয়ে অধিক পরিমাণে পথভ্রষ্ট করবে তার কাছে বসবে না।

ইয়াহইয়া ইবনে মুআজ রা. বলেন: আনুগত্য আল্লাহর ভান্ডারের মধ্য থেকে একটি ভান্ডার তার চাবি হল দুআ। কিন্তু হালাল খাদ্য তা নষ্ট হয়ে যাওয়া রোধ করে।

সবচেয়ে বিপদ জনক বিষয় হল মানুষ দুনিয়ার দিকে ঝাপিয়ে পড়েছে আর দুনিয়া উপার্জন করছে যে কোন পন্থায় হালাল হারাম বাঁচ বিচার করছে না। তাদের চিন্তা একটাই সম্পদ কিভাবে হাতে আসবে এটা দেখছে না তা হারাম না হালাল? কিভাবে ধনী হতে পারবে সেটাই চিন্তা করে সারা জীবন। এ কারনে অনেকে হিদায়েতের রাস্তা থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে।

আল্লাহ তাআলা বলেন: যে ব্যক্তি উপুড় হয়ে মুখের উপর ভর দিয়ে চলে সে কি অধিক হিদায়াতপ্রাপ্ত নাকি সেই ব্যক্তি, যে সোজা হয়ে সরল পথে চলে? [সূরা আল মুলক ২২ আয়াত]

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: অল্লাহ তাআলা তোমাদের মধ্যে তোমাদের চরিত্রকে বন্টন করেছেন যেমন তোমাদের রিযক তোমাদের মধ্যে বন্টন করেছেন। আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার সম্পদ দান করেন যাকে ভালবাসেন এবং যাকে ভাল না বাসেন তাকেও। আর দ্বীন দান করেন যাকে তিনি ভালবাসেন শুধু তাকে। যার হাতে আমার প্রাণ তার শপথ কোন ব্যক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত মুসলমান হতে পারবে না, যতক্ষণ না তার অন্তর এবং জিহবা মুসলমান হবে। আর ততক্ষণ মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ তার প্রতিবেশি তার বাওয়ায়েক থেকে নিরাপদে থাকবে। সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন বাওয়ায়েক কি জিনিস হে আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেন: তার যুলুম অত্যাচার। আর এটা কখনো হবে না, যে কেহ হারাম উপার্জন করবে তার থেকে খরচ করবে আর আল্লাহ তাতে বরকত দেবেন এবং তার থেকে দান করবেন আর আল্লাহ সে দান কবুল করবেন। আর সে তার থেকে যা কিছু রেখে যাবে তা তার আগুনের দিকে নিয়ে যাওয়ার বস্তু হবে। আল্লাহ তাআলা খারাপ দ্বারা খারাপের প্রতিকার করেন না। কিন্তু ভাল দ্বারা খারাপ মিটিয়ে দেন। খারা কখনও খারাপ-কে মিটাতে পারে না। (আহমাদ হাদিসের সনদটিতে দুর্বলতা রয়েছে)

বুখারি মুসলিমে এসেছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: তোমাদের জন্য আমি সবচেয়ে যে বিষয়টির বেশী ভয় করি তা হল আল্লাহ তাআলা তোমাদের জন্য যে বারাকতুল আরদ বের করবেন। প্রশ্ন করা হল, বারাকাতে আরদ কি জিনিস? তিনি বললেন: দুনিয়ার চাকচিক্য। অতপর বললেন: এই মাল সম্পদ সবুজ এবং মিষ্ট। এই মালের অধিকারসহ যে গ্রহণ করবে এবং জায়গামত তা ব্যয় করবে, সে এর মাধ্যমে সে উত্তম সাহায্য পাবে। আর যদি অন্যায় ভাবে সম্পদ গ্রহণ করে, তাহলে তার দৃষ্টান্ত সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে খাদ্য গ্রহণ করে কিস্তু তৃপ্ত হয় না। আর ঐ সম্পদ কিয়ামতের দিন তার বিপক্ষে সাক্ষী হবে।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথার সত্যতা প্রমাণের জন্য অনেক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। আমরা দেখতে পাই, যে ব্যক্তি হারাম পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে লোভ লালসা তার মনের মধ্যে অনেক বেশি বাসা বাধেঁ। সে মনে কখনও শান্তি পায় না। সব সময় কৃপণতা করে। তাদের হাত ভর্তি কিন্তু মন খালি। মানুষ তাদের সম্পর্কে বলে: ধনীরা গরিবদের সম্পদের প্রতি বেশি লোভাতুর হয়। কেননা হাদিসের ভাষা অনুযায়ী তারা হল এমন যে, খাবার গ্রহণ করে তবে তাদের পেট ভরে না। আর যে সুদের কারবারের মধ্যে পড়ে যায়, সে তার থেকে তওবা করে না। ফলে সুদ গ্রহণ করা থেকে তার মধ্যে অনুশোচনা আসে না। আর যে ব্যক্তি মানুষের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করে, অন্যায় কাজ তার জন্য সুন্দর করে দেখানো হয়। সে নিজে সেটিকে ভাল মনে করে। ফলে কোন বাহানা বা ষড়যন্ত্র করতে ত্রুটি করে না। আমরা দেখতে পাই তাদেরকে যারা মানুষের সাথে ধোকাবাজি করে মিথ্যার আশ্রয় নেয়, অথবা শুনতে পাই তাদের সম্পর্কে যারা কোন কাজ করে দিয়ে তার পরিবর্তে ঘুষ নেয়  অথবা জমির দালালি করে পয়সা নেয় তাদের এই হারাম উপায়ে অর্জন করতে অন্তর কাপে না। তারা মানুষের ন্যায্য অধিকার দিতে কার্পণ্য করে শ্রমিকের মজুরি ঠিকমত দেয় না। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর রব বলে ঈমান এনেছে। মুহাম্মাদ-কে নবী বলে মেনে নিয়েছে। ইসলাম-কে দ্বীন বলে স্বীকৃতি দিয়েছে তার পক্ষে এমন করা কিভাবে সম্ভব? সে কি করে হারাম খেতে পারে? সে তো জানে যে এর পরিণতি কি হবে আখেরাতে? দুনিয়াতেও এর শাস্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হারাম উপায়ে মাল সম্পদ উপার্জনে কিভাবে রাজি হতে পারে সে? সে তার দ্বীনকে সামান্য অর্থের বিনিময়ে কিভাবে বিক্রি করে দিতে পারে? এদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন: তারা আখিরাতের বিনিময়ে দুনিয়ার জীবনকে খরিদ করেছে। সুতরাং তাদের থেকে আযাব হালকা করা হবে না এবং তারা সাহায্য প্রাপ্তও হবে না। [সূরা বাকারা ৮৬ আয়াত]

সবশেষে এই দুআ করি যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেছেন: হে আল্লাহ! হারাম থেকে বাঁচিয়ে হালাল আমাদের জন্য যথেষ্ট করে দিন। গোনাহ থেকে বাঁচিয়ে আনুগত্য যথেষ্ট করে দিন। আপনি অনুগ্রহ করে আমাদের মুখাপেক্ষীহীন করে দিন।

সমাপ্ত


'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্‌র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

দ্বীনী খিদমায় অংশ নিন

3 COMMENTS

  1. ” হালাল উপার্জন কঠিন কাজ নয়। কিন্তু দীন থেকে আমরা দুরে থাকার কারণে এবং বস্তুগত মাধ্যমের প্রতি বেশী আকৃষ্ট হয়ে পড়ার কারণে এবং নীতিবোধ উঠে যাওয়ার কারণে কঠিন মনে হয়। ”
    চরম সত্য কথা। লেখককে অনেক অনেক ধন্যবাদ সময় উপযোগী বাস্তবসম্মত পোস্ট করার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুন