বই: আহবান – ফ্রী ডাউনলোড

1
8563

 

লেখকঃ গাজী মুহাম্মাদ তানজিল | পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৪৬ | ফাইল সাইজঃ ৭ MB |

আমি কে?

কোথা থেকে এলাম?

কেন এলাম? কে পাঠাল আমাকে ? আর কোথায়ই বা যাব আমি?

এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে ফিরেছে সে বিশ্বাস করে নিয়েছে নিজের চেয়ে অনেক ক্ষমতাধর এক সত্ত্বার, কখনও তাঁকে ডেকেছে “স্রষ্টা’’ বলে, কখনো ‘দেবতা’ বলে, কখনও বা ‘ঈশ্বর’ বলে। করে গিয়েছে সে সত্ত্বার উপাসনা (ইবাদাত)। কখনও হয়ত কালের পরিক্রমায় সেই “এক” সত্ত্বার স্থলাভিষিক্ত হয়ে পড়েছে বহু সত্ত্বা। তখনই তার কাছে এসে পৌঁছেছে স্রষ্টার বাণী এক-স্রষ্টার প্রতি আনুগত্যের বাণী তথা সত্যের প্রতি আহবান। আবার, কখনও কখনও সে বিচ্যুত হয়েছে সে বাণী থেকে, যে ব্যক্তি সেই শাশ্বত আহবান পরিত্যাগ করেছে , তবে তার জন্য তা মোটেও মঙ্গল বয়ে আনে নি ।

এক মানব-মানবী যুগলের বহু সন্তান এই মানবজাতি এক স্রষ্টার আহবানে এগিয়ে গিয়েছে অনেকবার, পিছিয়েও এসেছে অনেকবার। কিন্তু কখনই আহবান-শূন্য হয়নি এ জাতি। যেখানেই আঁধার সেখানেই আলোর মত ছুটে এসেছেন মুক্তির দূতগণ (নবী-রাসূলগণ), স্রষ্টার মেসেজ (বার্তা) নিয়ে হাজির হয়েছেন তাঁরা। শত কষ্ট সহ্য করে হলেও মানুষকে আহবান করে গেছেন সত্যের পথে, মুক্তির পথে, কল্যাণের পথে । তাদের আহ্বানের কল্যাণেই মানুষ দেখেছে এক মহাপ্লাবনের পরেও কুঁড়ি থেকে ফুল ফোঁটার মত সভ্যতার উন্মেষ, দেখেছে লোহিত সাগর দু’ভাগ হয়ে স্রষ্টার কৃপা পাওয়া এক জাতির মুক্তি, দেখেছে অনেক মহামানবের আগমন।

কত শত সংস্কারককেই না দেখেছে এই দুনিয়াবসী। আর সর্বশেষে দেখেছে মুক্তির অগ্রদূত মরুভাস্কর “মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহকে’’ (শান্তি আর দোয়া বর্ষিত হোক তাঁর উপর)। দয়াময় স্রষ্টা, সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছ থেকে আসা সর্বশেষ মুক্তির দূত (বার্তাবাহক) নবী মুহাম্মাদ সা: এর আহবান ছিল পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি। মানবজাতির প্রতি করুণা হিসেবে তাঁর আগমন। তাঁর আগমন শান্তির ইসলাম নিয়ে।

নবীর সাহাবীরা “আল্লাহকে’’ না দেখে ও নবীকে নিজেদের চোখে দেখে বিশ্বাস করেছেন। তাহলে, চিন্তা করুন তো, যে মানুষগুলো “আল্লাহকে’’ এবং তার প্রেরিত নবীকে না দেখে তাঁর প্রতি বিশ্বাস এনেছে, তাঁর আহবানে সাড়া দিয়েছে, তারা কতটা বেশি মর্যাদা পাবে আল্লাহর কাছে ??? ভেবে দেখেছেন কি??? আপনি কি পারবেন না তাদেরই একজন হতে? আহবানে সাড়া দিতে? তবে বসে রইলেন কেন? উঠে আসুন আপনার স্রষ্টার দিকে, প্রতিপালকের দিকে।

আহবানটা কীসের??

সত্য পথের আহবান। স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের আহ্বান।

আপনাকে দিয়েই তাহলে আহবান শুরু করি। আপনি কি আপনার স্রষ্টা/প্রতিপালককে স্মরণ করেন সারা দিনে? যদি না করেন, তবে বলি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কতক্ষণই বা লাগবে? মাত্র আধা ঘণ্টা? পৌনে এক ঘণ্টা? খুব কি বেশি সময়?

নাকি আপনাকে এত সব সুযোগ সুবিধা দেয়ার পরেও, প্রিয় মানুষগুলোর এত্ত এত্ত ভালোবাসা পাওয়ার সুযোগ করে দেয়া সত্ত্বেও আপনার স্রষ্টাকে স্মরণ করতে রুচিতে বাঁধে আপনার ?

আহ্বানটা থাকলো আপনার জন্য, ভেবে দেখবেন ।

ইনশা-আল্লাহ, আহবান আপনাকে পথ দেখাবে ।

বইটি কেন পড়বেন?

  • সৃষ্টিকর্তা, পরকাল, বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ ও বিজ্ঞান সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জনের জন্য।
  • এতে বিভিন্ন ধর্মের সন্দেহ ও সংশয়যুক্ত বিষয়সমূহ সহজ ও সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে পাঠকবৃন্দের জন্য বোধগম্য করে।
  • ইসলাম সম্পর্কে বিভিন্ন সন্দেহ নিরসন, নাস্তিক ও অমুসলিমদের বিভিন্ন সংশয়মূলক প্রশ্নের জবাব বইটি দেয়া হয়েছে।
  • কাফির,মুশরিক, নাস্তিকদের ইসলামের দাওয়াতের জন্য বইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও সময় উপযোগী ।
  • বিশেষত দাঈ ভাইদের জন্য এটি একটি দিক-নির্দেশনা বা গাইডলাইন ।

বইটি কাদের জন্য?

  • যারা ইসলাম সম্পর্কে জানতে ও গবেষণা করতে আগ্রহী।
  • যারা হক (সত্য) জানতে আগ্রহী। সত্য পথের সন্ধানে গবেষণারত আছেন।
  • যারা সত্য দ্বীন (ধর্ম) গ্রহনে ও মিথ্যা বর্জনে আপোষহীন ।
  • কাফির, মুশরিক, নাস্তিক, ইসলামবিদ্বেষী এবং ইসলাম সম্পর্কে সন্দিহান মুসলিমদের জন্য।

বইটির কিছু বৈশিষ্ট্য:

  • বইটি ইসলামের দাওয়াতের উদ্দেশেই সংকলন করা হয়েছে।
  • বইটির সূচিপত্র অত্যন্ত সুন্দর সাবলিলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে ।
  • বিষয়-ভিত্তিক ও বাস্তব-যুক্তিসম্মত তথ্যবহুল আলোচনা।
  • তাই বইটি তুলনামূলক ধর্মতত্ব ও ইসলামের দাওয়াত দেয়ার জন্য বাজারের অন্যান্য বই থেকে একটু আলাদা হওয়ার দাবি রাখে । তাই বইটি পড়ুন জানুন । ছড়িয়ে দিন ইসলামের বাণী, শাস্বত কল্যাণের বাণী ।

এক নজরে বইটি:

বইয়ের নাম: “আহবান”
সংকলনে : গাজী মুহাম্মাদ তানজিল
পরিবেশনায় : ইমাম পাবলিকেশন্স
সুরিটোলা, ঢাকা- ১০০০।
বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৪৪ ।
বইটির গায়ের মূল্য : ১০০টাকা ।

আহবান – QA Server 1
আহবান – QA Server 1
আহবান – Mediafire
আহবান – Mediafire

বইটি ভালো লাগলে অবশ্যই একটি Hard Copy সংগ্রহ করে অথবা লেখক বা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে সৌজন্য মূল্য প্রদান করে সহযোগিতা করুন।


'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্‌র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

দ্বীনী খিদমায় অংশ নিন

1 COMMENT

  1. ইসলাম শ্রেষ্ঠ ধর্ম। আর আমি মনে করি পৃথিবীতে একটিই ধর্ম আছে সেটি ইসলাম। যা সৃষ্টির শুরু থেকেই চলে আসছে। আর কুরআন শরীফ হচ্ছে সর্বশেষ ও চুড়ান্ত আসমানি কিতাব। যার ইসলাম ধর্মের পুর্ণাঙ্গ আলোচনা রয়েছে।

    এখন কথা হচ্ছে আরো অনেক ধর্ম আছে পৃথিবীতে যা আমরা দেখতে পাই। কিন্তু সেখানে আমার একটা ধারণা হচ্ছে, ঐ সমস্ত ধর্ম গুলো কুরআন শরীফ আসার আগে যে সমস্ত আসমানি কিতাব এসেছে তার বিকৃত ও পরিবর্তিত ধর্ম।

    যেমন উদাহরণ হিসেবে বলা যায় খ্রীস্টান ধর্ম। আমরা দেখতে পাই খ্রীস্টানরা ইসা (আ) কে অনুসরণ করে।

    কিন্তু আমরা জানি ইসা (আ) এর উপর যে কিতাব নাযীল হয় সেটি হচ্ছে ‘ইন্জিল’ এবং ইসা (আ) ছিলেন একজন মুসলিম। আর বর্তমানে খ্রীষ্টানদের ধর্ম গ্রন্থ হচ্ছে ‘বাইবেল’।

    সুতরাং একথা বলা যায় যে ‘ইন্জিল’ কিতাবটি ঐ সময়কার মুসলিমরা বিকৃত করতে করতে বাইবেলে পরিণত করে ফেলেছে। কারণ বাইবেলের মধ্যে কিছু কিছু সত্যতা পাওয়া যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুন